পদ্মা সেতু দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্র মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
এসময় তিনি জানান, পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এছাড়াও সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তিন মামলায় আসামি হলেও পরে দায়মুক্তি পান তিনি।
৮ মেগা প্রকল্পে শেখ হাসিনার ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের তদন্তে প্রধান উপদেষ্টার সচিব বরাবর তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে করা এক প্রশ্নে দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, এর আগেও এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের অবগত করা হয়েছে। অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান দলের সদস্যরা দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের জন্য চিঠিপত্র দিচ্ছেন বিভিন্ন দফতরে। এটা তাদের অনুসন্ধান কাজের অংশ। তথ্য পাওয়ার পর দলের সদস্যরা পর্যালোচনা করবেন। এটার সাথে অভিযোগ প্রমাণের সহায়ক ও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের দেশে-বিদেশে লেনদেনের যাবতীয় নথি তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক।
এদিন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে পরিচালিত অফশোর ব্যাংকের হিসাব বিবরণীসহ সব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। পাশাপাশি অনুসন্ধান টিম প্রথম দফায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথিপত্র তলব করে নির্বাচন কমিশন এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের নথি তলব করেছে।