ভারতে পলাতক ময়মনসিংহে ত্রিশালে তিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলার আসামি জঙ্গি রহমতউল্লাহ ওরফে জাহিদ ওরফে বুরহান ওরফে সুরাত আলীকে বেনাপোলে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। বর্তমানে তাকে পোর্টথানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সে একাধিক নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাতো।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোল সীমান্তে ট্রাভেল পারমিটে জঙ্গি রহমতউল্লাকে ফেরত পাঠায় ভারতীয় পুলিশ। এসময় সমুদ্র পথে মৎস্য আহরণকালীন ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ায় ৫ জেলে ও কাজের সন্ধানে আটক এক নারীকেও ফেরত দেয় ভারত।
জঙ্গি রহমতউল্লাহ নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার ফরাজকান্দি গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, ২০১২ সালের ২ এপ্রিল ডিএমপির দারুস ছালাম থানায় ও ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় যে সব আসামি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন জঙ্গি রহমতউল্লাহ। জঙ্গি ছিনতাইয়ে পুলিশ হত্যার ঘটনার পর সে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছিল। পরে সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর কারাগারে ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকার ভারতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে দুই দেশের সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তাকে ফেরত আনা হয়। ফেরত আসা আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশে সোপর্দ করা হবে এবং অন্যান্য ৬ জনকে এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে জানান ওসি।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ২০১২ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায়
প্রকাশ্যে প্রিজনভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে ৩ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগী জঙ্গিরা। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং আহত হন একজন উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুই পুলিশ। ছিনিয়ে নেয়া ৩ জনই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতেন।