মুঠোফোন-ইন্টারনেট সেবায় কর প্রত্যাহারের দাবি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা | 2025-01-12 14:06:04

দেশের মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর নতুন করে সম্পূরক কর আরোপ করা সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অবলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় কর বৃদ্ধির হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের' দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এমন ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংস এসডি ও সাথে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকে ভোগান্তি যেমন বাড়বে একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, এমন উদ্যোগের ফলে ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলতে পারে। হঠকারিমূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রযুক্তিবিদ এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সাথে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট এর পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সাথে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারও সাথে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যার জনগণের সাথে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল।

তিনি বলেন, ১ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে দিতে বাধ্য হব।

এসময় মানববন্ধন আরও বক্তব্য রাখেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, পাঠাও এর সিইও ফাহিম আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর