বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থান চিন্তা করে স্বল্পখরচে উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২ মার্চ) বিকালে রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৯তম সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার পর স্বাধীন দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির জনকের দেখানো পথ অনুসরণ করছি। অনেকে বিস্মিত হয়ে বলেন, এতো অল্প সময়ে কিভাবে দেশকে এতো উন্নত করতে পারলাম।’
বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন সারাদেশে দৃশ্যমান মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, ‘জনগণ ও দেশের প্রতি আমাদের একটা রাজনৈতিক কমিটমেন্ট থাকতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, তাদের জীবনমান উন্নত করার যে ওয়াদা করেছি, সেটা রক্ষা করার চিন্তা থাকতে হবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজধানীর সঙ্গে প্রত্যেকটা বিভাগের যোগাযোগ বাড়ানোর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেন করেছি। এরপর আমাদের একটা সিদ্ধান্ত ছিল, আমরা এক্সপ্রেস ওয়ে করব।’
‘কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যদি বুলেট ট্রেন করি সেটা আরও বেশি উপকারী হবে। এছাড়া সারা বাংলাদেশে আমরা একটা রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত রেল সংযোগ হয়ে গেলে সেটা অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারছি। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও গবেষণা বাড়ানো দরকার। উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করা দরকার। স্বল্পখরচে দেশের উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণে এ কনভেনশন ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আইইবি সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ শিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু প্রিন্সসহ আরও অনেকে।