ঐতিহাসিক ৭ মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কলতাপাড়া বাজারে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয। ২০১৫ সালে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির ব্যক্তিগত উদ্যোগে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
স্থানীয়রা জানান, ৫৩ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্যটিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মজিবুর রহমান যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন ব্যক্তিগতভাবে ভার্স্কয নির্মাণের ব্যয় বহন করতেন। এতে খুব দ্রুতই এগোতে থাকে এর নির্মাণকাজ। কিন্তু ২০১৬ সালের ২ মে মজিবুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর থেকেই আটকে যায় বৃহৎ এই ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ। ফলে প্রায় তিন বছর ধরে সেভাবেই পড়ে আছে অসমাপ্ত ভাস্কর্যটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণ শিল্পী ভাস্কর এমএ মাসুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাদা পাথরে নির্মিত ভাস্কর্যটি ৫৩ ফুট উঁচু। আমার ধারণা, দেশের ভেতর ও বাইরে বঙ্গবন্ধুর এত উঁচু ভাস্কর্য আর নেই। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ভাস্কর্যটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে এখনও ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। তবে এমপি মজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।’
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলামঞ্চের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বার্তা২৪.কমকে বলেন, মজিবুর রহমান ফকির এমপির মৃত্যুর পর আমরা স্থানীয় সংগঠন বাংলামঞ্চের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরারর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি পাঠানোর বিষয়টি আমি জানতাম না। এখন যেহেতু জেনেছি, তাই দ্রুত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শেষ করার বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।