ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হবেই: মেয়র

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-08-26 03:36:49

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, অতি বর্ষণজনিত কারণে জলাবদ্ধতা হতেই পারে। যদি এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে জলাবদ্ধতা হবেই। এজন্য তিনি আবহাওয়া অফিসকে আগাম সর্তক বার্তা দেওয়ার অনুরোধ করেন, যেন নগরবাসী প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে ‘আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন।

ঢাকা ইউনিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুর রহমান শামিম।

রাজধানীর জলাবদ্ধতার দায় কার এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, একটা বিষয় স্বীকার করেই নিতে হবে, যেটা হচ্ছে বাস্তবতা। যদি অতি বর্ষণ হয়, আর যদি সেই বর্ষণটা এক ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটারের বেশি চলে যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা হবেই। কারণ অতি বর্ষণ হলে আমাদের বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থা সেটাকে সাপোর্ট (ধারণ) করতে পারবে না।

‘কাজেই অতিবর্ষণ হলে জলাবদ্ধতা হবেই এবং নাগরিক ভোগান্তি হবেই। এমনটা সম্ভব না অতি বর্ষণ হলো জলাবদ্ধতা একেবারেই হল না। সেইরকম কোনো ম্যাকানিজম আমাদের নেই। সেজন্য নগরবাসীর মানসিকভাবে প্রস্তুতিও থাকতে হবে।’

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে এক ঘণ্টায় যদি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তাহলে কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি জমে যাবে। তবে সেই জমে থাকা পানি যদি ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে নেমে যায় তাহলে খুব বড় আকারে সমস্যা হিসেবে নাও দেখতে পারি। বিষয়টা হচ্ছে আমরা কিভাবে দেখব।

এজন্য তিনি আবহাওয়া অফিসকে আগাম সর্তকবার্তা জারি করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যদি আবহাওয়া অফিস আগাম বার্তা দেয় তাহলে নগরবাসী খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বা অফিস থেকে বের হবে না। আবার বের হলেও যেন ছাতা নিয়ে বের হতে পারি। নগরবাসী যেন মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সৌন্দর্যের কারণে জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না। জীবনের গতিটা যেনো স্বাভাবিক থাকে সেভাবেই সেবা সংস্থাগুলোকে কাজ করতে হবে।

সেবা সংস্থার বিদ্যমান আইনী কাঠামোর দুর্বলতা নিয়ে মেয়র বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আমাদের আইন কাঠামো খুব বেশি শক্ত না। কাজেই আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।

আমরা একটা অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারি, যা অনেকটা হাস্যকর। এর বেশি শাস্তি দেওয়ার বিধান আমাদের নেই। সে কারণে প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী করার সময় এসেছে। এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন রাজউকের কতটা ক্ষমতা রয়েছে। অন্যান্য সংস্থার কতটুক ক্ষমতা রয়েছে।

মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত অনেক বেড়ে গেছে। তবে আমরা যদি চেষ্টা অব্যহত রাখি তাহলে কিছুটা লাঘব করতে পারব। তিনি বলেন, বর্ষণজনিত পানি নিষ্কাশনের মূল দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। আমরা অন্যান্য সেবা সংস্থা তাদের সহযোগিতা করে থাকি। তবে সরকার যদি মনে করে জনপ্রতিনিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংস্থার বেশি সক্ষম সরকার যদি সেই দায়িত্ব দিতে চায় আমরা সিটি করপোরেশন প্রস্তুত আছি।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর