শিশুপার্ক বন্ধ জানেনই না দর্শনার্থীরা!

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 00:47:20

ঢাকায় শিশুদের জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র জাতীয় শিশু পার্ক। ঈদ কিংবা কোনো পূজা থাকলে অভিভাবকদের সঙ্গে শিশু পার্কে ঢল নামে শিশুদের। তবে এবার বিধি বাম। অনেকেই শিশুদের নিয়ে এলেও তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। কাছে কিংবা দূরে থেকে আসা দর্শনার্থীরা কেউ ঢুকতে পারেননি।

পার্কের সামনের হকারদের থেকে জানতে পারেন গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ এই শিশু পার্কটি, অনেকেরই তখন আক্কেলগুড়ুম।

শিশুপার্কে ঘুরতে এসে ফিরে যাচ্ছেন সবাই, ছবি: বার্তা২৪

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় প্রকল্প) অধীনে ৫০০টি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং, দৃষ্টিনন্দন জলাধারসহ হাঁটারপথ, আন্ডারপাস, মসজিদ ও অত্যাধুনিক রাইডসহ শিশুপার্কের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। প্রকল্প মেয়াদকাল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত।

এদিকে, শিশু পার্ক বন্ধ থাকার বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে প্রচারণা না হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে দুষছেন দর্শনার্থীরা। সাভার থেকে আগত আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিশু পার্ক দেখাতে বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে সাভার থেকে এসেছি। কিন্তু এসে শুনি পার্ক বন্ধ। এরচেয়ে হয়রানির আর কি হতে পারে!'

নোটিশেই সীমাবদ্ধ থাকে পার্ক বন্ধের বিষয়টি, ছবি: বার্তা২৪

 

স্কুল শিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমি এই ঢাকা-৮ আসনের বাসিন্দা। আমরাই কখনো এই উন্নয়ন কার্যের কথা শুনিনি। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল পর্যাপ্ত প্রচার করা যেটা তারা করেননি।'

শিশুপার্কে ঢুকতে না পেরে মন খারাপ আট বছর বয়সী নিগার জাহানের। সে বার্ত২৪.কমকে বলে, ‘পার্কটিতে খেলনা ট্রেনে উঠবো বলে এসেছিলাম। এখন তো কিছুতেই ওঠা হলো না।’

পার্ক বন্ধ থাকায় হকার থেকে শিশুর জন্য খেলনা কিনছেন এক পিতা, ছবি: বার্তা২৪ 

 

ঈদের দিনের মত বৃহস্পতিবারও (৬ জুন) নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। সকাল থেকে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কখনো ভারী বর্ষণ নগরবাসীকে গৃহবন্দী করে রাখে।

পার্কের বাইরে দর্শনার্থীদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪

 

সকল থেকে দুপুর পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ ও রমনা এলাকায় বিনোদন প্রেমীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। কিন্তু বিকেলে দিকে তাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। নতুন জামা পড়ে তারা উদ্যানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন। কেউবা স্বাধীনতা জাদুঘর ও শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরেও ঢু মারেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর