চট্টগ্রামের ভয়াবহ পাহাড় ধসের এক যুগ পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (১১ জুন)। ২০০৭ সালের এই দিনে ওই দুর্ঘটনায় ১২৭ জন মারা যান।
এরপর ঘটেছে পাহাড় ধসের আরও ঘটনা। গত এক যুগে চট্টগ্রামের পাহাড় ধসে প্রাণ গেছে অন্তত ৩০০ জনের। সর্ব শেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের আকবরশাহের ফিরোজশাহ কলোনিতে মা মেয়েসহ চারজন নিহত হন পাহাড় ধসের কারণে।
প্রতি বর্ষাতেই পাহাড় ধসের ট্রাজেডি ঘটলেও বন্ধ হয়নি পাহাড়ের কোলে ঝুঁকি নিয়ে বসতি স্থাপন। থামানো যায়নি দখলদারদের দৌরাত্ম্য। যেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই তারা।
এ অবস্থায় পাহাড় ধসে মৃত্যু ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাহাড় ধসে কারো মৃত্যু হলে সেই পাহাড়ের মালিককের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ৩৬ দফা সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় থামছে না পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল।
২০০৭ সালে এক দিনে কুসুমবাগ, কাইচ্যঘোনা, সেনানিবাস, লেবু বাগান, বায়েজিদ বোস্তামি, লালখান বাজার এলাকায় পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। এরপর গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি পাহাড় কাটা বন্ধসহ ৩৬ দফা সুপারিশ করে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২০০৭ সালের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানাভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পাহাড়ের বসবাসকারী এক হাজার পরিবারকে যদি অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলে প্রাণহানি থেকে রক্ষা হত।
তিনি বলেন, এবার পাহাড়ে বসতিদের পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও পাহাড় ধসে যদি মৃত্যু হয়, তাহলে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা প্রকৃতিরই অংশ। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে খাঁজে খাঁজে বসতি গড়ে তোলার কারণেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।