বর্তমান সময়ে জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির ১২৮ ডুয়েল সোর্স মডেলের ‘সিটি স্ক্যান’ মেশিনটি হার্টের ব্লক নির্ণয়ে সর্বাধুনিক ভার্সন হিসেবে পরিচিত। ১৪ কোটি টাকা দামের এই যন্ত্র খুব সহজে বলে দিতে পারে কারও শরীরে ব্লক আছে কিনা কিংবা ২০ বছরের মধ্যে হার্টে ব্লক হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা।
চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হতে হতে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পথ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ (ব্লক) হলেই সেটি ব্লক। এতেইও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে। আর হৃদযন্ত্রের এই রোগে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
তবে এই রোগ নির্ণয়ে চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল সর্বাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিনটি পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র একটি ইনজেকশন পুশ করে রোগীকে সিটি স্ক্যান মেশিনে প্রতিস্থাপন করানো পর স্ক্রিনে ভেসে আসবে বিস্তারিত তথ্য। তাতে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ১০ সেকেন্ড। তাছাড়া বর্তমানে হার্টের ব্লক নির্ণয়ে ‘এনজিওগ্রাম’ নামে জনপ্রিয় যে পরীক্ষাটি রয়েছে তার চেয়ে এই সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় খরচও অনেকে কম।
বর্তমানে হাসপাতালগুলো এনজিওগ্রামে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝামেলা। রোগীকে এক বা দু’দিন হাসপাতালেও থাকতে হয়। জার্মানির ১২৮ ডুয়েল সোর্সের সিটি স্ক্যান মেশিনটিতে সেই সব ঝক্কি-ঝামেলা নাই। ফি লাগবে মাত্র ৬ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের সদ্য উদ্বোধন হওয়া ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল সংযোজন করেছে রোগ নির্ণয়ের অভাবনীয় এই প্রযুক্তি। এটা সাধারণ কোনো ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিটি স্ক্যান মেশিনের মতো নয়। দেশের আর কোনো হাসপাতালে এই মেশিন নেই।
ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী প্রসাদ শেঠী শনিবার (১৫ জুন) হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। ডা. শেঠী ইমপেরিয়াল হাসপাতালে এ সিটি স্ক্যান মেশিনটির উপকারিতা তুলে ধরেন।