চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীকে নাকাল হতে হলেও এর পেছনে বৃষ্টি একমাত্র কারণ নয় বলে জানালেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘খাল ও ড্রেন দখল এবং ময়লা-আর্বজনায় ফেলে পথরোধ করায় জোয়ারের পানি বেশ কিছু এলাকায় ঢুকে পড়ছে। যাতে করে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।’
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে সিটি করপোরেশনের আবদুছ সাত্তার মিলনায়তনে ‘বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়ে অন্তর্ভুক্তকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চসিক ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইসফা) যৌথভাবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
শামসুদ্দোহা চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা শহরে কোনো খাল নেই। ভরাট ও দখল করে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সে অবস্থা থেকে চট্টগ্রামে এখনো কিছু খাল রয়েছে। তবে বর্তমানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দিন দিন সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটা নাজুক হয়েছে যে, কোনো খাল বা ড্রেন পরিস্কার করার জায়গা থাকে না। সমস্যা নিরসণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল বাজেট বরাদ্দ দিয়েছেন। এর বাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ড আলাদা আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আয়ত্তায় প্রতিটি খালের সামনে একটি রাস্তা ও সুয়ারেজ লাইন করা হবে। প্রকল্প দুটির মাধ্যমে ২০২২ সালে জলাবদ্ধতা নিরসণ করা সম্ভব হবে।’
নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধস ও ঝুঁকির বিষয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘আমরা বরাবরই কোনো ঘটনার পর কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করি। অথচ আমাদের বাসার কোনো একটি নষ্ট সুইচ, পুরনো সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আমরা পরিবর্তন করি না। যেখান থেকে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।’
সিটি করপোরেশনের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- সেভ দ্য চিলড্রেনের উপপরিচালক সায়েদ মতিউল আহসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে চসিকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. এ. কে.এম রেজাউল করিম।