বর্ষার পূর্বে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে উচ্ছেদে নেমেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। একইসঙ্গে তাদের অবস্থান না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের পেছনে রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ও সদর সার্কেলের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোঃ ইসমাইল হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মোহাম্মদ ছাড়াও পিডিবি, ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড ও রেলওয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দ্বিতীয় ধাপে নগরীতে ১৪টি পাহাড়ে ১৭ জুলাই পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে। পাহাড়ে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না। অভিযানের পরে কোনো অবৈধ বসতি গড়ে উঠলে পাহাড় মালিক ও সংস্থাকে এর দায়ভার নিতে হবে।
এর আগে চট্টগ্রামের ১৭টি পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া ৮৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। প্রথম ধাপে মতিঝর্ণা, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড়, একে খান পাহাড় এলাকায় ৩৫০টির এর মতো ঝুঁকি পূর্ণ পরিবেশে বসবাসরত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে।