ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় তিনদিনের ব্যবধানে আবারও ডুবল চট্টগ্রাম। গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত থেকে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
ফলে নিত্যদিনের কাজ আর কর্মস্থলে পোঁছাতে নগরবাসীকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর আগে গত বুধবার (১০ জুলাই) নগরের অধিকাংশ নিচু এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ছিল।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর একটা পর্যন্ত ৯৪ দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুদিন নগরে ভারী ও অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বেলা ১১টার ভারী বৃষ্টিতে নগরের অক্সিজেন, মুরাদপুর, ষোলষগর, বহদ্দারহাট, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, ঈদগাহ, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, হালিশহরের নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। বৃষ্টির কারণে সড়কগুলোতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পানি ঢুকে পড়ে নীচ তলার বাসা বাড়ি ও দোকানপাটগুলোতে।
নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মুরাদপুরে সামান্য বৃষ্টিতে নিচতলায় থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি থই থই করে। নুরুল আবছার নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে সকালে পানি ওঠে। তিনি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এমন ঘটনা প্রতি বর্ষায় দেখা দেয়। বৃষ্টি হবে, আর জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ক্রেতারা পানি মাড়িয়ে দোকানে আসতে চান না।’
বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মস্থলে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে বেগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বিভিন্ন সড়কে কিছু সিএনজি চললেও প্রায় সময়ই ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝপথে থেমে যাচ্ছে। এদিকে, বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতা দেখা দিলেই ভ্যান ও রিকশার ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।