প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে এক নজর দেখার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মরচুয়ারির (সমাধি সংক্রান্ত কার্যাদি সাধনের স্থান) সামনে শতশত নেতাকর্মী ভিড় করেছে।
ইতোমধ্যেই এরশাদের গোসল সম্পন্ন হয়েছে, নেতাকর্মীরা একে একে তাঁকে দর্শন করছেন।
রোববার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয়, সকাল সাড়ে ১ ১টায় কাকরাইল জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে তৃতীয় এবং বাদ আছর বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাতে হিমঘরে তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হেলিকপ্টারযোগে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হবে রংপুরে। রংপুরে জানাজা শেষে এরশাদকে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তবে রংপুর নেওয়ার পর সেখানকার নেতাকর্মীরা দলের নেতাকে সেখানেই দাফন করতে চাইবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী ও জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত খালেদ আক্তার এবং এরশাদের প্রেসসচিব এবং জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভরায় মৃত্যুর বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: এরশাদ মারা গেছেন
উল্লেখ্য, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।