প্রতিদিনই বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি), স্থানীয় প্রশাসন ও বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৬ জুলাই থেকে শুরু করে রোববার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ২৫ জন রোগী। যার মধ্যে ৫ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ রয়েছেন।
শেবাচিমের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, বরিশালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত শেবাচিমে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ১৭ জন নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বরিশালে এর আগে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তেমন লক্ষ করা যায়নি। এখন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও লঞ্চ যাত্রী বা মালামালের সাথে এডিস মশা আসার কারণে বরিশালে প্রতিদিনই এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে আতঙ্ক হওয়ার কিছুই নেই। শেবাচিমে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শেবাচিমের মেডিসিন ওয়ার্ডে (পুরুষ) দায়িত্বরত শাহিদা নামে এক সেবিকা বলেন, ‘প্রথমে জ্বর আক্রান্তরা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত ডায়ালাসিস করার পরে অনেকের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।’
এদিকে, বিসিবির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোধে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ৩০ জন ট্যাগ অফিসার ও ১ জন করে তাদের সহযোগী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সার্বিকভাবে পরিচালনার জন্য ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রবিউল ইসলামসহ ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫ জন কর্মী মশক নিধনে হ্যান্ড স্প্রে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন বিকেলে ফিগার মেশিন দিয়ে চার সদস্যের একটি আলাদা টিম সরকারি অফিস, বস্তি এলাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছে।