দেশি গরুর দখলে রাজশাহী সিটি হাট, জমেনি কেনাবেচা

রাজশাহী, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী | 2023-09-01 12:16:16

রাজশাহী অঞ্চলের কোরবানির পশু বিক্রির সবচেয়ে বড় সিটি গরুর হাট। গত সপ্তাহ থেকে রোজ হাটে গরু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন স্থানীয় খামারিরা। হাট এখনও পর্যন্ত দেশি গরুর দখলে। তবে চলতি সপ্তাহে হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও উপস্থিতি কম ক্রেতা-বিক্রেতাদের। ফলে জমে ওঠেনি কেনাবেচা। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজশাহীর সিটি পশু হাটে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, ‘দেশি গরুর দাম চড়া। মোটেও ছাড় দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। সাড়ে ৩ থেকে ৪  মন ওজনের গরুর দাম লাখের উপরে উঠছে। শেষ দিকে হয়তো দাম কিছুটা কমবে। ফলে তারা আরও সময় নিবেন গরু কিনতে।’

আর বিক্রেতা ও খামারিরা বলছেন- ‘গরুর খাবারের দাম বেশি। ছয় মাস যেসব গরু লালন-পালন করা হয়েছে, তার পেছনে বড় অংকের টাকা খাবার ও চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। তাই ভালো দাম না পেলে গরু বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে তাদের।’

নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী মন্টু ৫টি গরু নিয়ে সিটি হাটে এসেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘বাজার নরম। হাটে ক্রেতা একদমই কম। গরুর দামই বলতে চাই না কেউ। দাম শুনেই চলে যাচ্ছে।’

তবে নওগাঁ থেকে রাজশাহীতে আসতে সড়কে চাঁদা দিতে হয়নি জানিয়ে ব্যবসায়ী মন্টু বলেন, ‘রাস্তায় চাঁদাবাজির কোনো ঝামেলা নেই। গরু নিয়ে সরাসরি হাটে আসতেও সমস্যা হয়নি। তাই আজ বিক্রি না হলেও কোনো আপত্তি নেই।’

এরশাদ নামের আরেক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘কোরবানির পশু ক্রেতারা ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা মণ পড়বে এমন হিসেবে গরু কিনছেন। তবে বাজার এখনো জমেনি। কোরবানির দেরি থাকায় হাট ঘুরতে আসছে ক্রেতারা। আবার কেউ কেউ কিনেও নিচ্ছে, দামে মিলে গেলে।’

নাটোরের লালপুর থেকে গরু কিনতে আসা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘হাটজুড়ে দেশি গরুর দাপট দেখছি। দামও বেশি। বিক্রেতারা দামে ছাড় দিচ্ছেন না। সাড়ে তিন থেকে চার মণ ওজনের গরুর দাম লাখ টাকা উপরে চাওয়া হচ্ছে।’

রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা তিনজন মিলে কোরবানি দেবো। বড় গরু কিনতে চাই। তাতে বেশি মাংস হবে, দামও কম পড়বে। হাটে বড় গরুর চাহিদাও কম। তবে ভারতের গরু  না ঢুকলে দাম কমবে না।’

এদিকে, উত্তরের বড় এই পশুর হাটে জাল টাকার নোট শনাক্তকরণের জন্য দু’টি মেশিন রাখা হয়েছে। আগামী দিনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আরও মেশিন আনা হবে। তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতারণার শিকার হবে না। এছাড়া হাটে প্রতিটি গরু ছাড় করতে দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। আর মহিষের জন্য ৫০০ টাকা।

রাজশাহী সিটি হাটের তদারকির দায়িত্বে থাকা আবুল নাসের বাবু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘হাটে ভারতীয় গরু তেমন নেই বললেই চলে। সব গরু দেশি। এর মধ্যে কিছু বড় বড় গরুও আছে। গরুগুলো খামারের মাধ্যমে এক বছর ও ছয়-সাত মাস করে লালন-পালন করা। তবে হাটে ক্রেতা কম, এটা সত্য। কয়েক দিনের মধ্যেই হাট জমে উঠবে বলে আশা করছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর