হাইকোর্টের নির্দেশে উৎপাদন বন্ধ হওয়া ১৪টি ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধের মধ্যে পরীক্ষিত সাতটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য ঝু্ঁকি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে বিএআরসি’র পুষ্টি ইউনিট কর্তৃক দুধে এন্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম জানান, দুধ খেয়ে কারো মরার আশঙ্কা নেই। দুধে এন্টিবায়োটিক, সাফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লষণের নিমিত্তে পুষ্টি ইউনিট, বাংলাদেশ কৃষি গভেষণা কাউন্সিল উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাজারজাতকৃত পাস্তুরিত দুধসহ কাঁচা তরল দুধ সংগ্রহ করে এসব নমুনায় কোনো প্রকার এন্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর রেসিডিউ এর উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণের দুধ পরীক্ষা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের দুধ সংগ্রহ করে স্বীকৃত মানদণ্ড অসুসরণ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান এসজিএস (চেন্নাই) হতে দুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে পাস্তুরিত ও অপান্তুরিত দুধে কোনো প্রকার সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও জানান, ১৬টি নমুনার মধ্যে মিল্ক ভিটায় স্ট্রেপটোমেসিন'র উপস্থিতি প্রতি কেজিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে পাওয়া গেছে। তবে তা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার অনেক নিচে (সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা (২০০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি- ইউ)। প্রাণ গ্রুপের দুধে নমুনায় শুধুমাত্র ক্লোরামফেনিকলের উপস্থিতি প্রতি কেজিতে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া গেছে। দুধের ক্ষেত্রে ক্লোরামফেনিকলের কোনো প্রকার নির্ধারিত মাত্রা পাওয়া যায়নি। তবে কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা যে সাতটি কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করেছি, সেগুলো নিরাপদ। হাইকোর্টের বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। সেটা আইনজীবীরা দেখবেন। আমার ধারণা ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে। ভবিষ্যতে আরও কোম্পানির দুধও পরীক্ষা করব। ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর সমস্যা থাকতে পারে। বিদেশে পাঠিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করা হবে।’