দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে পটুয়াখালীর মাছ বাজারে আবারও স্বাভাবিক সরবরাহে ফিরেছে ইলিশ। অবরোধের কারণে দীর্ঘদিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে অন্যান্য মাছের সরবরাহও কমে গিয়েছিল, ফলে দাম ছিল চড়া। তবে অবরোধ শেষ হওয়ার পরপরই মাছের ট্রলারগুলো সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছে এবং নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ফিরে আসায় বাজারে মাছের উপস্থিতি বেড়েছে এবং দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের মাছের সমাহার দেখা গেছে। বাজারে ইলিশ, চিংড়ি, পাঙ্গাস, রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখা গেছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। মাছের সরবরাহ বাড়ায় দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বর্তমানে বাজারে ইলিশের দাম প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি চিংড়ির দাম কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাঙ্গাস কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার জানান, অবরোধের সময়ে মাছের দাম অনেক বেশি ছিল এবং সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। তবে এখন মাছের সরবরাহ ঠিকমতো হওয়ায় দাম কমে আসছে। তিনি জানান, ইলিশের প্রতি কেজি এখন ৪৫০-১৪০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা অবরোধের আগের সময় ১৫০০ টাকার ওপরে ছিল। অন্যান্য মাছের দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী জব্বার ফকির বলেন, বর্তমানে যে মাছ আছে ওগুলো নদী এবং চাষের মাছ। গভীর সাগরের জেলেরা ফিরতে ৪-৫ দিন সময় লাগবে। তারা ফিরলে মাছ সরবরাহ বাড়বে এবং দাম আরো কমবে।
বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতা হাসান কবির বলেন, অবরোধের কারণে মাছের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন মাছ কিনতে এসে দেখছি দাম সাশ্রয়ী হয়েছে।
অন্য এক ক্রেতা সেলিনা বেগম জানান, এবার বাজারে এসে মাছের ভালো সরবরাহ দেখে খুশি হয়েছি। দামও কিছুটা কমেছে, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, অবরোধের সময় সমুদ্রের মাছের প্রজনন ও পরিমাণ বাড়ে। তাই অবরোধ শেষ হওয়ার পর বাজারে ভালো মাছ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। অবরোধের এ পদ্ধতি পরিবেশ ও প্রজনন সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।