বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উদযাপনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ কথা জানান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যাসোসিয়েশনসহ বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে বস্ত্রনীতি-২০১৭ এবং বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়ন করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি আনুষ্ঠানিক দিবসের উদযাপন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে বহুমুখী বস্ত্রপণ্যের মেলা আয়োজ করা হলে তা এ শিল্প বিকাশে সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।’
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র খাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।’
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অর্ন্তভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।