ঢাকা: মহাখালী বাসস্ট্যান্ড পুরোপুরি আগের চেহারায়।গাবতলীর অবস্থা আগের চেয়ে আরো অসহনীয়, তবে ঢাকা উত্তরের পূর্বের অবস্থায় যেতে খুব বেশি সময় লাগবেনা, এ কথা বলছে ঢাকা উত্তরের সাধারণ মানুষ।
রাস্তাগুলোতে ভীষণ খোঁড়াখুঁড়ি। কোনও কোনোটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় টিকাদারদের কাছে জানতে চাইলে জানা যায, আগে তারা কাজের বিল পেয়ে যেতো এখন আর সেটা হয় না।এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওসমান গনি বলেন, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু সমস্যা যে হচ্ছে না তা নয়, তবে খুব শিঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। ঈদের পরে পুরো দমে কাজ চলবে।
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক চলে গেছেন প্রায় সাড়ে ৬ মাসেরও বেশি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক নগরবাসীর জন্য নতুন পথ দেখাতেন।কিন্তু সে পখ এখন আরে নগরবাসী দেখছে না।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমছে। প্রধান ও পার্শ্ববর্তী সড়কগুলো খানাখন্দে ভরা। অলিগলির সড়ক ভাঙা, কাটা, খুঁড়েরাখা-প্রতিহিংসার শিকার। মশার আক্রমণ বাড়ছেই। ড্রেনগুলো উপচে পড়ছে ময়লায়। রাস্তায় গাড়ি আসলে চলেনা, বরং হাঁটে। মানুষের হাঁটার গতি গাড়ির গতির চেয়ে বেশি কোনও কোনও ক্ষেত্রে। আনিসুল হক থাকতেও এসব সমস্যা ছিল, কিন্তু তার দৃশ্যমান অগ্রগতিও ছিল।
এ ব্যাপারে মিরপুর ১৪ আসনের এমপি আসলামুল হ্ক আসলাম বলেন, উন্নয়ন নিয়ে কোন কথা হবে না। বেতন বোনাস নিয়ে ব্যস্ত আছে। যদি জানতে হয় তকে ঈদের পরে যোগাযোগ করতে হবে।
সরেজমিনে মিরপুর, কল্যানপুর, দারুসসালাম, গাবতলী, মিরপুর-১, টেকনিক্যালের মোড়সহ উত্তরের অর্ধশত এলাকায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার দেওয়ান আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের এলাকায় উন্নযন হচ্ছে। আমরা রুটিন ওয়ার্ক করে যাচ্ছি। এলাকায় উন্নয়নও হচ্ছে। বাজেটের পরে জোরে সোরে আমরা কাজ করবো। ডিএনসিসির কল্যাণপুর নগর ভবনের দিকে তাকালে মনে হয, অভিভাবকহীন এই শহরের নাগরিকরা ও অতিথির মতো। ফলে দুর্ভোগ অনেকটাই নিয়তিই বলে মেনে নিচ্ছে নগরবাসী। কেননা, তাদের অভিযোগ-আবদার শোনার কেউ নেই এই শহরে।