‘ভারতে এলপিজি রফতানি বাণিজ্যিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে’

বিবিধ, জাতীয়

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নয়াদিল্লি (হায়দ্রাবাদ হাউস) থেকে | 2024-01-12 16:23:55

বাংলাদেশ থেকে ভারতে এলপিজি রফতানির সিদ্ধান্ত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৫ অক্টোবর) নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উভয় দেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রকল্প তিনটি হলো- খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনঞ্জিনিয়ার্সে বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি রফতানি প্রকল্প।


আরও পড়ুন: ৭ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই, ৩ প্রকল্পের উদ্বোধন

ত্রিপুরায় এলপিজি রফতানি প্রকল্প প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যসমূহের জ্বালানি চাহিদা পূরণ অনেকাংশে সহজ হবে বলে আশা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রথাগত খাতে সহযোগিতা প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ও অপ্রচলিত খাত যেমন ব্লু ইকোনমি এবং মেরিটাইম, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ গবেষণা, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানি এবং সাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করেছে।

এ সব বহুমুখী এবং বহুমাত্রিক সহযোগিতার ফলে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশ্ববাসীর সামনে সু-প্রতিবেশীসুভল সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাব বিশ্বাস করি, এ সহযোগিতা আরও অব্যাহত থাকবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবনের উদ্বোধন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতের উন্নয়নেও এ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় ভারত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ওই অঞ্চলের ক্ষুদ্র-মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে ভূমিকা রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

এর আগে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থল তাজমানসিং রোডের হোটেল তাজমহলে দেখা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।

এরপর তিনি যান হায়দ্রাবাদ হাউসে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর