রংপুরের পীরগঞ্জে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির হাজতে শামছুল হক (৫৫) নামের এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফাঁড়িতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আসামির মৃত্যু এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। আসামি শামছুল হকের মৃত্যুকে ঘিরে তদন্ত ফাঁড়ি ঘেরাও করে হামলার যে ঘটনাটি ঘটেছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জানা গেছে, বুধবার সকালে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির হাজতের গ্রিলে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শামছুল হক (৫৫) নামে এক আসামির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হলে আসামির পরিবারসহ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে অন্তত ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।
প্রায় এক ঘন্টা পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ, পথচারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ওই ফাঁড়ির ইনচার্জসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। যেহেতু আসামির মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এ কারণে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।