সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএনসিসির কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ এর সিও লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১টায় বসুন্ধরায় রাজীবের বন্ধুর বাসায় অভিযান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা রাত নয়টার দিকে জানতে পারি, রাজীব বসুন্ধরায় তার বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করে আছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো- সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্ব।
তিনি বলেন, অভিযানে এই বাসা থেকে ৭টি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। রাজীব আমাদেরকে অস্ত্রের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এটি অবৈধ অস্ত্র।
রাজীব এই বাসায় কত দিন ধরে আত্মগোপন ছিলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানামতে সে ১৩ অক্টোবর থেকে এই বাসায় আত্মগোপনে আছে। তার বন্ধুকে আমরা পাইনি, সে বিদেশে রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা ও দখলদারিত্বের কি কি অভিযোগ রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মাত্র এখানে অভিযান শেষ করেছি। বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখছি।
এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৪০৪ নম্বর বাসা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালিয়ে এসব পাওয়া যায়।
অবৈধ দখল, চাঁদাবাজি, এলাকায় মাস্তানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিজস্ব লোক দিয়ে ট্রাক-লেগুনা স্ট্যান্ড ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা নেওয়ার সঙ্গে কাউন্সিলর রাজীব জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে প্রকাশ্যে তাকে খুব একটা বেশি দেখা যায়নি। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন
কাউন্সিলর রাজীবকে ধরতে বসুন্ধরার একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে র্যাব