কে এই ভিআইপি কাউন্সিলর রাজীব!

  ক্যাসিনো
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, ছবি: সংগৃহীত

কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে আটক করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রাজীবকে আটক করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির এক কক্ষের বাসায় ভাড়া থাকা তারেকুজ্জামান রাজীব এখন থাকেন নিজের ডুপ্লেক্স বাড়িতে। মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে রাজীবের ডুপ্লেক্স বাড়ি।

জানা গেছে, পাঁচ কাঠা জমির ওপর বাড়িটি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ছয় কোটি টাকা। অথচ তার দৃশ্যমান কোনো আয় নেই, কোনো ব্যবসা নেই। শোনা যায়, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম ও দুবাইতে তার বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মাত্র ৫ বছর ব্যবধানে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে তরুণ এই কাউন্সিলর। ২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বিভিন্ন কারসাজি করে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারান।

২০১৫ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পরই যুবলীগের এই নেতার অবস্থা বদলে যেতে থাকে খুব দ্রুত। হিসাব মেলানো যায় না। এ এক অবিশ্বাস্য উত্থানের কাহিনী। মাত্র ৫ বছরে ফুলে-ফেঁপে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। সবসময় তার চলাচলের বহরে থাকে শতাধিক নেতাকর্মী। তিনি চড়েন নিত্যনতুন অত্যাধুনিক গাড়িতে।

অভিযোগ আছে, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম থেকে কামিয়েছেন অঢেল সম্পত্তি। তার ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে অনেকে তাকে ‘মোহাম্মদপুরের সুলতান’ নামে ডাকেন।

জানা গেছে, কাউন্সিলর হওয়ার পর রাজীবের লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা পাইন আহমেদকে মারধর করে। ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী জানার পর মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় রাজীবকে।

কিন্তু পরে আবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন।

কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ‘জনতার কাউন্সিলর’ নামধারী রাজীবের। তার পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানকে আটকের পর এবার আটক হলেন তিনিও।

যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদ ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসাসহ নানা মাধ্যমে দুর্ধর্ষ ও বেপরোয়া হয়ে উঠা রাজীবের আটকের মধ্য দিয়ে চলমান শুদ্ধি অভিযান আরও বেগবান হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।