ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ক্যাসিনোর টাকা চাঁদা নিতেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে র্যাব সদর দফতরের লে. কর্ণেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই সূত্র আরও জানায়, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা করে দিতেন সম্রাট আর খালেদ। সবশেষ এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে না দেওয়ায় গালাগালিও করেছেন তিনি।
সম্রাটের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র্যাবের এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সম্রাটের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১০ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে র্যাবকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সম্রাট।
প্রসঙ্গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। পরে ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করে র্যাব।
সবশেষ মঙ্গলবার সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ফকিরাপুরের ইয়ংমেনস ক্লাবে। ক্লাবটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
অবশ্য ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বারবারই গণমাধ্যমে বলছেন, ক্লাব পরিচালনা ও ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার দাবি, চেয়ারম্যান পদটি আলংকারিক, দায়িত্বের না।