২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিব বর্ষ’। এরই মধ্যে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। ধারণা করা হচ্ছে এ কর্মসূচিকে ঘিরে থাকছে নানা চমক।
এর আগে জানা যায়, মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।। তবে এবার শোনা গেল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র কেবল উপস্থিত থাকবেন না, অনুষ্ঠানের মূল বক্তাও তিনি।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দ্য হিন্দুকে বলেছেন, প্রায় ৩৯ জন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের অনেকে ইতিমধ্যে আসার জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ঢাকার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন নরেন্দ্র মোদিই অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেবেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের অনেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ভারতে বাংলাদেশের মিশনগুলো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায়ও পৃথক অনুষ্ঠান হবে।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আরও জানান, মুজিববর্ষ উদযাপনে এখন পর্যন্ত আটটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই আন্তর্জাতিক উপকমিটিগুলো বর্তমানে বিদেশে শতবর্ষ উদযাপন কর্মসূচির বিবরণ দিচ্ছে। ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলা বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করা হবে। কলকাতা ও আগরতলায় যৌথ প্রকাশনা, মিডিয়া কনফারেন্স, ডকুমেন্টারি এবং সেমিনারের আয়োজন করা হবে যাতে একাত্তরের সময় উপস্থিত ভারতীয় সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন।
কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত এই এক বছর ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগসহ দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর ঠিক পরের বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি, জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি মুজিব বর্ষের কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বিতভাবে পালিত করা হবে।