ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা একটু শঙ্কিত: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-19 19:25:28

দেশের ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সকাল-বিকেল হস্তক্ষেপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী চান প্রত্যেকটি সংস্থা যেনো নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু ব্যাংকগুলো সম্বন্ধে আমরা একটু শঙ্কিত। নানান বকাঝকার মধ্যে দিয়ে বাস করি তবুও আমরা চাই ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব বোধ, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব নীতি-বিধান নিয়ে সঠিকভাবে চলুক।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ফেম হলে পল্লী কম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, যে আইন দ্বারা সরকার চালিত একই আইন দ্বারা অন্যান্য ধারাও পরিচালিত। বিমান, ব্যাংক ও স্বস্ব সংস্থা যারা আছে পিকেএসএফ এর মত সবাই নিজ নিজ অবস্থানে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এবং স্বাধীনতা ভোগ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই আমাদের বার্তা।

হীনমন্যতা থেকে সকলকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। সেটাতে দেশেই শেখার অনেক বিষয় আছে। হীনমন্যতা করে অন্যেরা আমাদের চেয়ে ভালো, এমন সকল চিন্তা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

পিকেএসএফের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যে কাজগুলো করছেন সরকারের পক্ষ থেকে আমি আবারও বলছি আপনাদের কোনো কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করিনা। প্রধানমন্ত্রীও তা চান না।

উন্নয়ন মেলা প্রসঙ্গে এমএ মান্নান বলেন, উন্নয়ন মেলা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক সময় এই জাতি অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে ছিল সেই জাতি আজ তিন বেলা পেট ভরে খেতে পারছে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। এর চেয়ে বড় উন্নয়ন মেলা আর দেশে কি হতে পারে।

অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি।

পলক জানান, উন্নয়ন মেলাকে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই যেখানে বাংলাদেশের আরো দশ লক্ষ তরুণ আইসিটি সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। তার জন্য বাংলাদেশে আমরা ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করছি।

তিনি আরো জানান, আমি পিকেএসএফ এর সদস্যদের আমন্ত্রণ জানাব। আপনাদের যদি ছোটখাটো কোনো ট্রেনিং এবং কোনো ইনকিউবেশন সাপোর্ট প্রয়োজন হয় তবে আপনারা স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর অনলাইনে এপ্লাই করবেন। তাহলে আমাদের যে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার আছে সেখানে আইসিটি ডিভিশন থেকে পিকেএসএফ এর সাথে পার্টনারশিপ এর ভিত্তিতে আপনাদের জন্য আমরা ইনকিউবেশন ফ্যাসিলিটিজ উন্মুক্ত করে দেবো। পাশাপাশি আমরা টার্গেট হিসেবে নিয়েছি আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আরো দুই হাজার সেবা আমরা অনলাইনের মাধ্যমে নিয়ে আসব।

হাবিবুন নাহার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিত তার জন্য গ্রামগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নে গ্রামবাংলা এখন পিছিয়ে নেই। সেই সাথে মেয়েরাও এখন এতে অংশগ্রহণ করছে। এটা অনেক ভালো একটি বিষয়।

সভাপতির বক্তব্যে খলিকুজ্জামান জানান, এবার আমরা বিভিন্ন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। এছাড়া এখন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে দশটি স্টল কে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং পিকেএসএফ এর বিভিন্ন সংগঠন সংস্থার সদস্যবৃন্দ।

আয়োজকরা জানান, উন্নয়ন মেলা আরো দুই-তিন দিন চলবে বলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর