বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাএীকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই স্কুল ছাএী (১৬) উপজেলার বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে মনিরকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মনিরের বাবা ও মেয়ের বাবা মামাত ফুফাত ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে মনির প্রায় সময়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মনিরের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে বিয়ে করা। কিন্তু মেয়ে মনিরকে পছন্দ করতো না। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা না নাকচ করে দেয়। প্রায় সময়ই সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতো।
সোমবার রাতে কোনো এক সুযোগে মনির ধারালো অস্ত্রনিয়ে মেয়ের ঘরে লুকিয়ে থাকে। পরে ওই মেয়েকে ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ঘরে থাকা তার মা ও ছোট ভাই জেগে দেখে, মনির ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে জখম করছে। পরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভাগলপুর বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, মনির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্রী। সে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং তার লেখা পড়ায় প্রবল আগ্রহ আছে তার। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং অভিযুক্ত মনিরকে আটক করা হয়েছে৷ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।