২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায় দেবেন আদালত। রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এই নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আদালত পাড়ার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যাপক সংখ্যক র্যাব ও পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও দেখা গেছে।
জানা গেছে, রায় শোনানোর জন্য আসামিদেরকে কারাগার থেকে ৯টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হবে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে তারা ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
পরে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। প্রধান আসামিদের মধ্যে পুলিশের অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
ওই বছরের ২৬ নভেম্বর বিচার শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ২১১ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ১১৩ জন।
হলি আর্টিজান হামলা মামলায় গ্রেফতার ৮ আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।