২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা মামলার রায়ে ৭ আসামির ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে রায়ে একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশি মিডিয়ায় রায়টি খুব ফলাওভাবে প্রচার করেছে। আর বাংলাদেশি মিডিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোও প্রকাশ করেছে খবরটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি, রয়টার্স, দুবাই ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা, ভারতের ইকোনিমিক টাইমস, মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম ইলিবেন মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে, ইয়াহু নিউজ সহ আরও অনেকে সংবাদটি প্রচার করেছে।
হলি আর্টিজান ক্যাফে হামলা: ঢাকার আদালতে সাতজনের ফাঁসি (Holey Artisan cafe attack: Dhaka court sentences seven to death) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ আল জাজিরা। রিপোর্টটিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানীতে জনপ্রিয় হলি আর্টিজান ক্যাফেতে হামলায় জঙ্গি-বিরোধী একটি আদালত সাত জনকে ফাঁসি আদেশ দিয়েছে। এছাড়া এই মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এ রায় দেওয়া হলো।
বিবিসি তাদের ব্রেকিং এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে। ২০১৬ সালে ক্যাফে হামলায় বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Islamists sentenced to death for 2016 cafe attack) শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ করে বিবিসি। তাদের সংবাদে বলা হয়, হলি আর্টিজান ক্যাফেতে ২২ দেশি ও বিদেশিদের হত্যার দায়ে সাত জনকে ফাঁসি দিয়েছে আদালত।
২০১৬ ক্যাফেতে হামলায় সাতজনকে ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh sentences seven to death for 2016 cafe attack) শিরোনামে খবরটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।
এদিকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে তাদের শিরোনামে বলে, ২০১৬ সালে ঢাকার ক্যাফেতে জঙ্গিদের হামলায় বিদেশিদের হত্যার দায়ে সাত ইসলামপন্থী জঙ্গিকে ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh sentences seven Islamists to death over 2016 terror attack on foreigners in Dhaka cafe)।