কয়েকদিন ধরে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে বরিশাল তথা দক্ষিণের জনপদেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের শীতকালীন পিঠা বিক্রির দোকানে। দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের জন্য পিঠা সংগ্রহ করছেন ক্রেতারা। কেউ ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, সাজের পিঠা, পাটিসাপটা খাচ্ছেন; কেউ আবার পরিবারের জন্য বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। শীতের শুরুতে এসব দোকানে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও বেশ কয়েকদিন ধরে পিঠা বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। বিকেল থেকে এসব দোকানগুলোতে পিঠা বিক্রি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর সদর রোড, প্রেসক্লাবের সামনে, নগর ভবন, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, রাখাল বাবুর পুকুর পাড়, ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুর পাড়, জেলা পরিষদ পুকুর পাড়সহ নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাতে, রাস্তার মোড়ে এবং ভ্যানগাড়িতে বসেছে এসব পিঠার দোকান। দোকানগুলোতে মানুষের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে পিঠা কিনতে আসা মো. মামুন নামে এক চাকুরীজীবী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শীতের রাতে বন্ধু-বান্ধব মিলে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। চুলার একটু একটু উষ্ণতা পিঠা খাওয়ার আমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বাসায় বানানো পিঠার চাইতে ফুটপাতে বসে পিঠা খাওয়া আনন্দ ও মজা আলাদা। তাই কয়েকদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়া নিয়মিত পিঠা খেতে প্রেসক্লাবের সামনে আসি।
সদর রোডে একটি পিঠাঘরে আসা নাজমা নামে স্কুল শিক্ষিকা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকায় বাসায় বসে পিঠা তৈরি করার সময় হয় না। তাই পিঠা কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি।
মা-মনি পিঠাঘরের দোকানি মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শীতের শুরু থেকেই পিঠা বিক্রি শুরু করলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠা বিক্রি বেশি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৭/৮ হাজার টাকার ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, পাক্কন পিঠা বিক্রি করছি। যা আগে ৪/৫ হাজার টাকা বিক্রি হত। বর্তমানে প্রায় ২০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি হচ্ছে।
আঁখি নামে আরেক চিতই পিঠা বিক্রেতা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুই তিনদিন ধরে প্রতিদিন ৬/৭ কেজি চালের গুড়ার চিতই পিঠা বিক্রি করছি। প্রতিদিন ১৫/১৬ শ টাকার চিতই পিঠা বিক্রি করছেন তিনি। আর আগে ১১/১২ শ টাকার পিঠা বিক্রি হত।