খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

, জাতীয়

শাহজাহান খান, কোর্ট স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-28 21:05:29

 

ঢাকা: মানহানির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ জুলাই) শুনানি শেষে বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলাটির বাদী এ বি সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির জন্য আবেদন করলে আদালত পরে আদেশ দিবে বলে জানান। এর কিছু সময়ের পরে বিজ্ঞ আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারির আদেশ দেন। একই ‘আগামী ৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দিন ঠিক করেছেন আদালত।’

এদিকে মামলাটির বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে এ মর্মে গত ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আলী। বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পরে এই আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে দাখিল করা প্রতিবেদনটি  গ্রহণ ও  তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার দাবি জানিয়েছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন।

এ সব বক্তব্য বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিকর।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী একটি মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর