ঢাকা: পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মরত ইন্সপেক্টর মো. মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত রহমত উল্লাহর (৩৫) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (১১ জুলাই) বিকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মো. সাইফুজ্জামান হিরো এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান এ আসামিকে আদালতে হাdvজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক স্বীকার করেছে যে, তার সহযোগী আসামি স্বপন, দিদার, মিজান, আতিক, শেখ হৃদয় ওরফে আপন ওরফে রবিউল, সুরাইয়া আক্তার কেয়া, মেহেরুন নেছা ঝর্ণা ওরফে আফরিন, ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ৮ জুলাই রাত ৮ ঘটিকার সময় বনানী থানাধীন ২/৩ নং রোডস্থ, ৫ নং বাড়ীর, ২/এ এপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার রুমে ভিকটিম মো. মামুন ইমরান খানকে ফোন করে ডেকে এনে মারধর করে হত্যা করে। পরে লাশগুম করার জন্য লাশ বস্তাবন্দি করে গাড়ীতে করে গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকড় থানাস্থ উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাশের ঝোপের মধ্যে লাশ পেট্টাল বোমা দিয়া পোড়াইয়া ফেলে আসে।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মামুন ইমরান খান (৩৪) ঢাকায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইনটেলিজেন্স পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার কলাকুপা এলাকায়। ‘মামুন ইমরান খান ২০০৫ সালে পুলিশে যোগ দেন।
গত ১০ জুলাই গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকর থানার উলখোলার বাইরদিয়া রাস্তার পাশের বাশের ঝোপের মধ্যে লাশ পেট্টাল বোমা দিয়া পোড়ানো ইন্সপেক্টর মো. মামুন ইমরান খান লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলম খান গত ১০ জুলাই বনানী থানায় একটি মামলা করেন।