রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্ব।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা দেড়টায় রংপুর রেঞ্জার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালসের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ব্যাট-বলের লড়াই। সিলেটে তিনদিনে বিপিএলের ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে সিলেট থান্ডার, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, রাজশাহী রয়্যালস, রংপুর রেঞ্জার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এর মধ্যে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট পৌঁছে সরাসরি যায় মূল ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে উইকেট এবং মাঠ পর্যবেক্ষণ করে টিম হোটেলে রওনা হয় দলটি।
এদিকে এবার বিশেষ বিপিএলে আগ্রহ নেই সিলেটের দর্শকদের। মূলত স্বাগতিক সিলেট থান্ডারের পারফর্মেন্সে হতাশ করেছে স্থানীয়দের। আজ বুধবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামের মূল ফটকে ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও দর্শকদের দেখা মিলছে না। হাতে গোনা কয়েকজন দর্শককে দেখা গেছে টিকেট কিনতে। অথচ প্রতিবারই সিলেটে টিকেট কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন দর্শকেরা। এমনকি আগের দিন রাত থেকেই টিকেট কিনতে লাইনে দাঁড়াতেন।
জেলা স্টেডিয়ামের এক টিকিট বিক্রেতা জানান, প্রতিবার টিকেট কিনতে ভিড় লাগে। কিন্তু এবার দর্শকদের আগ্রহ নাই কেনও বুঝতে পারছি না। আমাদের ধারণা কাল সবাই খেলা দেখার আগে টিকেট কিনে মাঠে ঢুকবে।
টিকেট কিনতে আসা শরিফ হাসান নামে একজন বলেন, ভালো খেলোয়াড় নেই, সাকিবও নেই- তাই সবার আগ্রহ কম। সিলেট টিম প্রতিবছর খারাপ করছে৷ এবার তাদের অবস্থা আরও করুণ। সব মিলে বিপিএল ঘিরে অন্য বছরের মতো আগ্রহ কারো নেই। তবে যেহেতু বিপিএল বছরে একবার হয় তাই কিছু দর্শক আসবেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল) বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সিলেটে বঙ্গবন্ধু বিপিএল আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি সুন্দরভাবে সবকিছু হবে। এবার দর্শকদের আগ্রহ কম কেনও জানতে চাইতে তিনি বলেন, সব জায়গায় এবার দর্শক কম হচ্ছে। হয়তো ভালো খেলোয়াড় কম এজন্য দর্শক আসছে না। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেটে প্রচার-প্রচারণার কোনও ঘাটতি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।