সদ্য বিদায় নেওয়া ২০১৯ সালে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৪৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৬৬ জনকে।
এছাড়া বরিশাল জেলায় পাঁচ বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ৩৮৩ জন মাদকাসক্তকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি ৩২৮ গ্রাম গাঁজা, ১০ হাজার ৬৩৫ পিস ইয়াবা, ডিএস স্পিরিট ৫৫৮ লিটার, চোলাইমদ তৈরির উপকরণ এক হাজার ৬০০ লিটার ওয়াশ ও ১৬১ লিটার চোলাইমদ জব্দ করা হয়। এছাড়া ফেনসিডিলও জব্দ করা হয় বেশ কয়েক বোতল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক (দায়িত্বে) এ এ এম হাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বরিশালে মাদক কেনাবেচা ও সেবন নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ একই সঙ্গে মাদকের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। গঠন করা হচ্ছে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ের মাদকবিরোধী কমিটি।
তিনি আরো বলেন, যারা মাদকাসক্ত হয়েছে, তাদের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে এনে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের গণ্যমান্যদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাদকমুক্ত বরিশাল নগর গড়ে তোলার জন্য তাদের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।