বরিশালে শুরু হয়েছে প্রথম ধাপের মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য অবৈধ জাল নির্মূলে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ অভিযান।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জেলা মৎস্য অফিস এই অভিযান শুরু করে।
জানা গেছে, বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১২টি অভিযান ও ৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৩টি বেহুন্দি জাল, ৩১ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২০টি অন্যান্য জাল আটক করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ।
এছাড়াও অভিযানে ২৫০ কেজি জাটকা এবং ১৫ কেজি অন্যান্য মাছ জব্দ করে স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাইদ বার্তা২৪.কম-কে জানান. মৎস্য অধিদফতরের সিদ্ধান্ত অনুসারে চলমান জাটকা রক্ষা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে অন্যান্য সামুদ্রিক প্রজাতির মাছের ডিম, লাভা ও পোনা রক্ষায় এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অবৈধ জাল নির্মূলে প্রথম ধাপের অভিযান চলবে আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের অভিযান আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ।
তিনি আরও জানান, দেশের ১৩টি জেলায় এ অভিযান চলবে। জেলাগুলো হলো ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, বরগুনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ ও পিরোজপুর। এ অভিযানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
মৎস্য সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ অনুযায়ী উপকূলীয় বেহুন্দি জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে সারা বছর দেশের সব নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অবৈধ জাল ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা ।