কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মজনু মিয়া। ৩০ বছর বয়সী এ যুবক একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে উল্লেখ করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে বলেও স্বীকার করেছে মজনু। এমনকি ভিকটিমকে ধর্ষণের পর কয়েকবার হত্যার চেষ্টাও করেছিল ধর্ষক মজনু।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র্যাব লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।
সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ভিকটিমকে অনেকবারেই ধর্ষক মজনু হত্যা করতে চেয়েছিল। আলহামদুল্লিহা, আমরা শুকরিয়া আদায় করব,আমাদের বোনটি ভালো আছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাসায় ফেরার পর রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।