নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার
সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর একটি বিড়ি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার একটি ফাঁকা মাঠের পাশে ঝোপের মাঝে গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝোলানো ছিল তার মরদেহ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলির স্মরণিকা বহুমুখী প্রকল্প এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি রান্নার লাকড়ি সংগ্রহ করতে এসে মরদেহটি দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত যুবকের নাম মো. শুভ (১৮)। তিনি যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ভগমতিতলা গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। তিনি ধামরাই থানার ইসলামপুর এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নিরিবিলি ফাল্গুনী হাউজিং এলাকার নিউ মিঠু বিড়ি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে ৬ মাস যাবত চাকরি করে আসছিলেন তিনি।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিড়ি কোম্পানি থেকে সকাল ৯টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে নিজের সাইকেল নিয়ে বের হয় শুভ। পরে ওইদিন দুপুর ২টার দিকে সর্বশেষ তার মায়ের সাথে কথা বলেন তিনি। এরপর থেকেই তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ শুভ। পরদিন শুভ’র বাবাকে সাথে নিয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বিড়ি কোম্পানির ব্যবস্থাপক। পরে মঙ্গলবার দুপুরে শুভর মরদেহের খোঁজ মিলে।
প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পুলিশ জানায়, নিহতের মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার সাথে থাকা মোবাইল পাওয়া গেছে তবে তার সাইকেল ছিল না।
খবর পেয়ে ছুটে আসে নিহতের পরিবার। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তারা। নিহত শুভর বাবা এরশাদ আলী বলেন, আমার ছেলে খুবই শান্ত ও ভদ্র ছিল। সে কোনো নেশা পানির সাথেও জড়িত না। কারও সাথে শত্রুতা ছিল এমন কিছুও আমাদের জানা নেই।
আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি অন্যকিছু তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। অতিদ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সত্য সামনে আসবে। আমরা কাজ করছি।