ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) ঘুষ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় এই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যান্য সময়ের চেয়ে কমিশন এখন অনেক বেশি কার্যকর। শুধু সাধারণের দুর্নীতি নয় দুদকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি রোধে কমিশনের বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। দুদকের প্রত্যেকটি কর্মকর্তার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয় এখন। যেই দুর্নীতি করুক না কেন কমিশনের হাত থেকে তাদের ছাড় নেই।
উল্লেখ্য, গতবছর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে দুদক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ডিআইজি মিজান দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করতে সংস্থাটির পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) এনামুল বাছিরের মাধ্যমে নিজের পক্ষে নেবার প্রয়াস চালায়। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানকে অর্থের বিনিময়ে সহায়তা করার অভিযোগে দুদক মিজান ও বাছিরকে আসামি করে আরও একটি মামলা করে। এই মামলার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুদক।
ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক এনামুক বাছিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলা তদন্তের ভার ছিল দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এবং মামলাটি তদারকি করেছেন দুদক মহাপরিচালক সাইদ মাহবুব খান।