সকাল থেকে দেখা নেই সূর্যের। মেঘ ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে রাজধানী। একই সঙ্গে রয়েছে ঠান্ডা বাতাসও। বেলা বাড়ার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গত কয়েক দিন ধরে রৌদ্রজ্জ্বল থাকার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এদিকে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলেও ঘন কুয়াশা পড়ছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশা ও বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায় ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আগামী ২ দিনের শেষের দিকে ক্রমান্বয়ে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। তার পরবর্তী ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গেল মধ্যরাত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দু-একটি জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
ঢাকায় বাতাসের গতি উত্তর-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে।