রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আপেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষার্থীদের মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্কুলটির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এই সব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিভাবকদের পক্ষে হোসেন শাহাদাত বলেন, স্কুলের একজন শিক্ষকের বদলি আদেশ প্রত্যাহারসহ স্কুলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান চেয়ে শিক্ষার্থীরা গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। দাবি আদায়ে তারা জেলা প্রশাসকসহ মাধ্যমিক উপ-পরিচালককে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধান শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, রংপুর জিলা স্কুলের মতো স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দুঃখজনক। শিক্ষার্থীরা এসবের প্রতিবাদ করেছে। প্রধান শিক্ষকের অপকর্মে অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন।
অভিযোগ করা হয়, স্কুলে রসায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। প্রতিটি শ্রেণি কক্ষ ময়লা আবর্জনায় ভরা। দুর্গন্ধের কারণে টয়লেট ব্যবহার করা দুষ্কর। স্কুলের সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এসবের প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করায় এখন ভয়ভীতি আর হুমকি অব্যাহত রেখেছেন প্রধান শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক কাজী নাজমা বেগম, তৌফিকা ইসলাম, রুবি আকতারসহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এ.আর.মিজানুর রহমান আপেল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি একাই উন্নয়ন চাইলে হবে না। এখানকার আয় মাত্র ১৯ লাখ টাকা। অথচ স্কুলটির পরিপাটি ও আরও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে ৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে সব সমস্যার সমাধান হবে। এর জন্য ছাত্র ও অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে হবে।