রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ ৫ বছরের শিশু আশামণিকে পাঁচদিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত শনিবার বিকেলে খালে পড়ে যাওয়া বল আনতে গিয়ে ডুবে যায় আশামণি। খবর পেয়ে শিশুটির মা তানিয়া দৌড়ে এসে খালে ঝাঁপ দেন। ততক্ষণে খালের গভীর তালিয়ে যায় শিশুটি।
জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ কল দেন স্থানীয়রা। আধাঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিস এসে জানায়, খালের প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার জুড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তর জমেছে। ময়লা-আবর্জনার সেই শক্ত আবরণের নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পানির স্রোত।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, খালের ময়লা পরিষ্কার করে তবেই আশামনিকে তুলতে হবে। ময়লা পরিষ্কারের কাজ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় পড়ে। সিটি কর্পোরেশন জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে এত ময়লা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব না। এভাবে কালক্ষেপণ হতে থাকে। ৪০ মিনিট পর ছোট একটা কালভার্ট পার হয়ে হাত দেখা যায় আশামণির।
স্থানীয় দোকানদার ইব্রাহিম জানান, ডুবে যাওয়ার ৪০/৪৫ মিনিট পর প্রায় ২০ হাত দূরে আশামণির হাত দেখা যাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে দুজন ঝাঁপ দেন তাকে উদ্ধার করতে, কিন্ত আশামণিকে আর পাওয়া যায়নি।
আলো স্বল্পতার কারণে সেদিনের মতো উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যায়, পরদিন থেকে নিয়মিত উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার অভিযানে খালের প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার পরিষ্কার করা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি আশামণিকে।
জানতে চাইলে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইমরান বার্তা২৪.কমকে বলেন, খাল পরিষ্কার করা ছাড়া বাচ্চা খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই আমরা খাল পরিষ্কার করছি। খালে ময়লা-আবর্জনার শক্ত আবরণ তৈরি হয়েছে, এ জন্য সময় লাগছে। যতটুকু পরিষ্কার করেছি সেটুকুর মধ্যে নিখোঁজ শিশুটি নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো ভিতরের দিকে চলে গেছে, যেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি, প্রয়োজনে যতটুকু খাল তার সবটুকু পরিষ্কার করা হবে। শিশুটিকে যতদিন পর্যন্ত উদ্ধার করতে না পারব ততদিন উদ্ধার তৎপরতা চলতে থাকবে।
ইমরান হোসেন আরো বলেন, খালে আবর্জনার শক্ত আবরণের জন্যই বাচ্চাটিকে খুঁজে পাচ্ছি না। ধারণা করা যাচ্ছে না কোথায় শিশুটি থাকতে পারে। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।