জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তিত্ব-সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য পিইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমানকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
সফল শিল্প উদ্যোক্তা সুফী মিজানুর রহমানের হাতেই গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠানের একটি— পিএইচপি গ্রুপ। হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য অঙ্গনে অতি পরিচিত নাম। অক্লান্ত পরিশ্রম, অসাধারণ মেধা, সততা ও নিষ্ঠা তাকে দেশের অন্যতম শিল্প-ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
তবে সুফী মিজানুর রহমান সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায়ই আসেন আলোচনায়।শিক্ষাখাতে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণের স্বার্থে তিনি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, গুণীজন যত বাড়বে সমাজ তত আলোকিত হবে।এজন্যে সমাজকে গুণী লোকের কদর দিতে জানতে হবে।
১৯৪৩ সালের ১২ মার্চ জন্ম নারায়ণগঞ্জে হলেও বেড়ে ওঠা তার চট্টগ্রামেই। স্থায়ীভাবে বসবাসও করেন তিনি বন্দরনগরীতেই।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেবেন।
সুফি মিজানসহ যে ২০ বরেণ্য ব্যক্তি একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন− ভাষা আন্দোলনে আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলা সংগীতে বেগম ডালিয়া নওশীন, শঙ্কর রায়, বেগম মিতা হক, নৃত্যে মো. গোলাম মোস্তফা খান, অভিনয়ে এসএম মহসীন, চারুকলায় অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে হাজী আক্তার সরদার (মরণোত্তর), আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), ডা. আ. আ. ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর), ড. নুরুন নবী, বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি, চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েরা আখতার।
এছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বছর গবেষণায় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।