রংপুর জিলা স্কুলে ৫৫ জন মেধাবী ও সাহসী ছাত্রকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে মেধা তালিকায় থাকা ৪৮ ছাত্রের।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে এই বৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাঙ্গনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উৎসবের আয়োজন করে।
'বৃত্তি যখন বন্ধন' স্লোগানে পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্কুলটির প্রাক্তন ছাত্র, প্রবীণ রাজনীতিক ও ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রাক্তন ছাত্র ও সাবেক ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর গফুর, প্রাক্তন শিক্ষক সুবত চন্দ্র দেবনাথ, প্রাক্তন শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ও নাট্যব্যক্তিত্ব মনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক এ.আর মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে জিলা স্কুল দেশকে অসংখ্য মেধাবী ব্যক্তিত্ব উপহার দিয়েছে। যারা তাদের কর্মে ও মেধায় এই দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। সারাদেশের মধ্যে রংপুর জিলা স্কুলই প্রথম প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বৃত্তি বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে প্রতিযোগিতামূলক পড়ালেখায় মেধাবী ও সাহসী ছাত্ররা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হবে।
আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বৃত্তি উৎসবের সমন্বয়ক ডা. তানভীর সিদ্দিকী, কারমাইকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোরশেদ আহমদ খাঁন, ব্যাংকার রাশেদ রব্বানী জুয়েল প্রমুখ।
উৎসবে এ বছর তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আটটি শ্রেণির এবং প্রত্যেক শ্রেণির চারটি করে শাখার ৩২টি শ্রেণিতে দুই জন করে মোট ৬৪ জন মেধাবী ছাত্রকে এই বৃত্তির আওতায় নেয়া হবে। এর মধ্যে শুক্রবার উৎসবে ৫৫ জনকে এককালীন ও মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব ছাত্র পর্যায়ক্রমে আট বছর মেয়াদে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বৃত্তি সহায়তা পাবে।
স্কুলটির ২৭টি ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে এবার উৎসবে এককালীন শার্ট, প্যান্ট, জুতা, সোয়েটার, স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম ও কাগজসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ এবং মাসিক বৃত্তি শ্রেণি ভিত্তিক নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মেধা তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৪৮ জন কৃতি ছাত্রকে সংবর্ধনা প্রদানের পাশাপাশি বৃত্তিপ্রাপ্ত দুই জন ছাত্রের অভিভাবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, রংপুর জিলা স্কুলের প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত সকল ছাত্রকে শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করা পর্যন্ত সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে ২০১৬ সাল থেকে স্কুলটির প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ও শিক্ষকরা একীভূত হয়ে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।