বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণকে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে' প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। আজকে যদি সেই দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকে তাহলে কেনো কোটি কোটি মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা কোনো অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন চাই না। এই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছে না। কারণ বর্তমান সরকার জনগণ এবং খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে চাই। আজকে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে গণতান্ত্রিকভাবেই এগোতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করে। কিন্তু আমরাও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারের পতন চাই না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের হাতিয়ার নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন চাই।
মঈন খান আরো বলেন, প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তার উদাহরণ ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সাংবাদিকরা এখানে যারা আছেন তারা আপনাদের টেলিভিশন ক্যামেরা ত্রিনয়ন, আমি টেলিভিশন ক্যামেরাকে বলব এই ত্রিনয়নের মাধ্যমে আপনারা যা দেখিয়েছেন তাতে আমরা বুঝতে পেরেছি দেশের মানুষ কাকে চায়। এই নির্বাচনে সঠিক রায় দেওয়া হয়নি।
এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বেগম জিয়া সারাদেশের নেত্রী। বেগম জিয়াকে আমিও নেত্রী মানি। আমি যখন দু'বছর কারাগারে ছিলাম তখন, যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছে তিনি এত বড় নেত্রী হয়েও আমার মুক্তির কথা বলেছেন। আমার একটা কৃতজ্ঞতা বোধও আছে। আমি মনে করি এবং সবাই মনে করে খুবই অন্যায়ভাবে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার মুক্তির পথে আইনের কোনো বাধা নেই তাহলে তিনি জামিনতো পেতেই পারেন। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না।