২০২০ সালে জাতীয় ক্ষেত্রে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন দেশের অন্যতম সফল শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সুফি মিজানের এই অর্জনে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে তার নাতি নাভেদ, আয়মান এবং নাতনী সামা তাকে উদ্দেশ্য করে আবেগাপ্লুত ভাষায় একটি চিঠি লিখেছে। যে চিঠিতে দাদার অর্জনে নিজেরা গর্বিত বলে জানিয়েছে। দাদার এই অর্জনের পিছনে দাদির ভূমিকার কথা স্মরণ করতেও ভোলেননি তারা।
নাভেদ, আয়মান এবং সামা-তারা তিনজনই ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব কুয়ালালামপুরে পড়াশুনা করে। তিনজনের পক্ষ থেকে চিঠিটি লিখেছে ১৪ বছর বয়সী আয়মান মিজান ইকবাল, সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল পড়ুয়া এই তিন শিক্ষার্থী চিঠিটি লিখলেও চিঠির ভাষায় দূরদর্শীতা, পরিপক্কতা লক্ষ্য করা গেছে, যা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়।
চিঠিটি মিজানুর রহমানের ছেলে পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইকবাল হোসেন চৌধুরী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
চিঠিতে লেখা ছিল-
প্রিয় দাদু ও বুবু
পৃথিবীর প্রতি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবিভক্ত মনোযোগ সবার ভেতর থেকে সত্যিকারের ইতিবাচকতা বের করে এনেছে। যিনি দেশের জন্য কোনো কিছু করেন তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।
তুমি যেসব গল্প এবং উদ্ধৃতি আমাদের শুনিয়েছো, তা শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে তোমার দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছে। তুমি সফলভাবে উঁচু থেকে আরও উঁচুতে আসীন হয়েছো। তোমার জীবনে এমন একজনের ভালোবাসা আছে যা, তোমাকে জ্বলে উঠতে সাহায্য করেছে।
বুবু, তুমি নিজেও জানো না যে, এই বিশ্বকে আলোকিত করতে তুমি কী ভূমিকা রেখেছো। দাদু, আমরা সত্যিই গর্বিত। তোমার এই অর্জন বুবুকেও পাহাড়সম শান্তি দিয়েছে। দাদু তুমি বলতে, একজন সফল মানুষের পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে। দাদু তুমি সত্যিই ভাগ্যবান। বুবু তোমাকে ধন্যবাদ, পেছনে থেকে নীরব ভূমিকা পালন করার জন্য এবং কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে তা বোঝার জন্য। আমরা কতটা খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। তোমরা আমাদের শেখালে, কীভাবে ভালোবাসা ও উৎসাহ দিয়ে পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেওয়া যায়।
তোমাদের প্রিয়
নাভেদ, আয়মান, সামা।
আরও পড়ুন: সুফি মিজান এমনই!
সুফি মিজানের কণ্ঠে মাইজভান্ডরী গান: ‘মন অহংকারে দিন…..’
একশো টাকা থেকে বিলিয়নিয়ার, রহস্য কী? (১ম পর্ব)
সাফল্যের মূলে বাবার অনুপ্রেরণা ও স্ত্রীর ভালোবাসা (২য় পর্ব)