সুফি মিজান এমনই!



রফিকুল বাহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একুশে পদক নিচ্ছেন সুফি মিজান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একুশে পদক নিচ্ছেন সুফি মিজান

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৯ বছর হলো। ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ৫০১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সরকার প্রধান বিশেষ এ রাষ্ট্রীয় পদক তুলে দেন।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেকটি একুশে পদক ১৮ ক্যারটের ৩৫ গ্রাম ওজনের সোনার তৈরি। সার্টিফিকেটের সঙ্গে থাকে নগদ দুই লাখ টাকার চেকও।

সঙ্গীত, নৃত্য, অভিনয়, চারুকলা, মরণোত্তর, গবেষণা, অর্থনীতি, সমাজসেবা, চিকিৎসা, ভাষা ও সাহিত্যের জন্য এসব পুরস্কার মনোনীত করা হয় বিভিন্ন ধাপে। যাঁর জন্য একুশের পদকের প্রস্তাব করা হবে তাঁর বিষয়ে ৩৫০ শব্দের একটি যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন প্রস্তাবক। তারপর জেলা প্রশাসন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্তরের ব্যাপক খোঁজখবর যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়।

একুশে পদক প্রাপ্তদের সঙ্গে সুফি মিজান

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র দুইজন শিল্প উদ্যোক্তাকে একুশে পদক দেয়া হয়। প্রথম ব্যবসায়ী শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে মরণোত্তর পুরস্কার পেয়েছিলেন দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী। ২০২০ সালে দ্বিতীয় পুরস্কারটি পেলেন জীবদ্দশায় দেশের আরেক সফল শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পিএইচপির বাংলা অর্থ হল, ‘সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির ছায়া।’

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সুফি মিজানুর রহমান ব্যবসা শুরু করেন ব্যাংক কর্মকর্তার সামান্য চাকরি ছেড়ে। এ পাঁচ দশকেই তিনি গড়েছেন ৩৩টি প্রতিষ্ঠান। যাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় ১০ হাজার কর্মজীবী। তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে লেনদেন করে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সরকারকে ভ্যাট, শুল্ক ও আয়কর বাবদ প্রতিবছর পরিশোধ করে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

পরিবারের সঙ্গে সুফি মিজান

সুফি মিজানের জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে। কিন্তু তিনি স্থায়ী নিবাস গড়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে। তাঁর অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠানও চট্টগ্রামে। বয়স ৭৬ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সাদা-শুভ্র শ্রুশ্মু। পরনে থাকে সূতির সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি-টুপি। খুব সাধারণ বেশভূষা। রোজা রাখেন বছরের প্রায় অধিকাংশ দিন। করলা ভাজি, ডিম ভাজি, ডাল, কৈ মাছ, ইলিশ মাছ তাঁর প্রিয় খাবার। সদা হাস্যোজ্জ্বল বিনয়ী। পরিচিত কেউ বলতে পারবেন না যে, সুফি মিজানের আগে কখনো তাকে সালাম দিতে পেরেছেন।

সহধর্মিনী তাহমিনা রহমান ছায়ার মতোই আছেন সুফি মিজানের সাথে। বিভিন্ন বক্তব্যে তাহমিনাকে ‘মহিয়সী নারী’ বলে তুলে ধরেন তিনি। সাত ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেদের ৪ জন অস্ট্রেলিয়া এবং বাকি ৩ জন আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই বিদেশে স্থায়ী নিবাস গড়েননি। দেশে এসে বাবার গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর হাল ধরেছেন। ছেলেরাও নতুন নতুন শিল্প গড়ছেন। সুফি মিজান এখনো নিয়মিত প্রতিদিন অফিস করেন। অফিসে ঢুকেই প্রতি ছেলের রুমেই গিয়ে খোঁজখবর নেন, তিনি ছেলেদের ‘আব্বু’ বলেই সম্বোধন করেন সবসময়। বাসায় ফিরে ছেলের বউদের খোঁজখবর যেমনি রাখেন, তেমনি নাতি-নাতনিদের সাথে সময় কাটান। কখনো কখনো স্কুলপড়–য়া নাতি-নাতনিদের শিক্ষকও বনে যান তিনি।

সুফি মিজান

এ বছর মোট ২০ জন্য ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে একজন একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ৫ জন মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন।

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এতো কথা তুলে ধরার একটি কারণ নিশ্চয় আছে। সেটি হলো- ৭৬ বছর বয়সেই একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নিতে পেরে তিনি নিজেকে খুবই ধন্য মানছেন। পুরস্কার সুফি মিজানের মতো আরও অনেকেই পেয়েছেন। কিন্তু সফল ব্যবসায়ী হিসেবে জীবদ্দশায় পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাটি তাঁর মনোজগতে এক অন্যরকম আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়ায় জীবনে আরো অনেকদিন বেঁচে থাকার স্পৃহা নতুন শিল্পগড়ার প্রেরণা পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তাঁর পুরস্কার গ্রহণের সময় সঙ্গে ছিলেন সাত ছেলে, একমাত্র মেয়ে এবং তাঁর সহধর্মিনী। ব্যবসায় সাফল্য পাওয়ার সাথে পারিবারিক ঐক্য ও বন্ধন অটুট রাখার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত সুফি মিজান। তিনি সবসময় আমাদের জন্য অনুকরণীয়-অনুসরণীয়। অতি সাধারণ জীবনযাপন করেও আকাশছোঁয়ার মতো সফলতা অর্জন করেছেন কঠোর পরিমশ্রম, সততা, মেধা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে। তাঁর ছেলেরা সবাই একবাক্যে বলেন, ‘আব্বুর মতো পরিশ্রমী কাউকে আমরা দেখিনি জীবনে। এ বয়সেও তাঁর পরিশ্রমের কাছে আমরা সবাই হার মানি।’

 

সবশেষে আমার ছোট্ট একটি অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ করতে চাই। ধান চাষ করেছেন গ্রামের বাড়ি রূপগঞ্জে। ফলন ভালো হয়েছে। সেটি দেখার জন্য আমাকে সঙ্গে নিয়েই চট্টগ্রাম থেকে রওনা হন ফজরের নামাজ পড়ে। রূপগঞ্জে গিয়েই সোনালী ধানের ফলন দেখে আমি মুগ্ধ। তিনি বলেন, ‘শিল্পপতিরা যদি চাষবাদে এগিয়ে আসেন তাহলে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি সংকটসহ অনেক কিছুরই সমাধান হয়ে যাবে।’ ১৩ বছর আগের ঘটনা এটি। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

সুফি মিজানের যে অফুরন্ত দম তিনি যে অসম্ভব পরিশ্রমী সেটি বুঝতে পেরেছি সেদিন। ধান ক্ষেত দেখে আমি ফিরি চট্টগ্রামে। তিনি চলে যান ঢাকায়। আমি ফিরে ক্লান্তশ্রান্ত হয়ে রাতে আর প্রতিবেদন তৈরি করতে পারিনি, করেছি পরেরদিন। আসার আগে আমাকে মায়া করে নিজ হাতে খাইয়ে দিয়েছেন। তাকে খেতে বললে তিনি বলেন ‘আমি রোজা রেখেছি’। পরে জানতে পারলাম তিনি ঢাকায় গিয়ে অফিস করেছেন। বিদেশ থেকে আসা অতিথিদের সঙ্গে মাহফিল করেছেন। ১৩ বছর আগে তখন সুফি মিজানের বয়স ছিল ৬৩ বছর। আর তখন আমার বয়স ছিল ৩৮ বছর। সুফি মিজান এমনই, একজন যুবকও যার সঙ্গে দৌড়ে পেরে উঠেন না !

রফিকুল বাহার, আবাসিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম, একুশে টেলিভিশন লিমিটেড।

আরও পড়ুন: পিএইচপি পরিবারে কিছুক্ষণ

সুফি মিজানের কণ্ঠে মাইজভান্ডরী গান: ‘মন অহংকারে দিন…..’  

একশো টাকা থেকে বিলিয়নিয়ার, রহস্য কী? (১ম পর্ব)

সাফল্যের মূলে বাবার অনুপ্রেরণা ও স্ত্রীর ভালোবাসা (২য় পর্ব)

একুশে পদক পেলেন সুফি মিজান

   

দেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পেঁয়াজ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, দেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পেঁয়াজ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ করছি, কৃষকদের উৎসাহিত করছি। বর্তমানে দেশে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কৃষক যেন স্বল্প মূল্যে বীজ পায়, চাষাবাদের উপকরণ পায়, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় দেশের প্রথম বিশেষায়িত ‘জায়েন্ট এগ্রো পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে বছরব্যাপী দেশবাসীকে তা সরবরাহ করতে পারবে। এমন উদ্যোগের জন্য আমি নেদারল্যান্ডস সরকার ও দেশি-বিদেশি সকল অংশীদার প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বছরব্যাপী পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়াও ভোক্তারা যাতে সাধ্যের মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

জায়েন্ট এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডিউরেন, ডেল্টাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের বাবস্থাপনা পরিচালক মি. মাটিন ভারব্রুগেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, অনিয়ন ইমপেক্ট ক্লাস্টার প্রকল্পের সমন্বয়কারী ইরমা ভারহুসেল, নেদারল্যান্ড এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির প্রতিনিধি নাদিয়া ভ্যান ডি উয়েম। সংরক্ষণাগার ও প্রসেসিং সেন্টার নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেজিটেবল প্রসেসিং সেন্টার অলরাউন্টের মার্কেটিং প্রধান মোহাম্মদ ফারুক, তীর সীড প্রাইভেট লিমিটেড সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ ইশতিয়াক আলম।

অনিয়ন ইমপেক্ট ক্লাস্টার প্রকল্প ২০২২-২৪ এর আওতায় পেঁয়াজ প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করা হয়। নেদারল্যান্ডস সরকার ও বিভিন্ন বাংলাদেশি ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশি ভোক্তাদের জন্য ভালো মানের পেঁয়াজের ধারাবাহিক সরবরাহের পাশাপাশি চাষীদের কাছে মানসম্পন্ন পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা, পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপশি প্রকল্পটি ভারতীয় পেঁয়াজের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশী পেঁয়াজে স্বনির্ভরতা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে অবদান রাখছে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেঁয়াজের বীজ পরীক্ষার বিভিন্ন উপায়, বক্স-ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়। এখানে ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

মোকাররম হোসেন সুজন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন,আলমবিদিতর ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর আমরা ওই ইউপির চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেছি। এখন থেকে ওই ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন।

মোকাররম হোসেন সুজন বলেন, জনগণ ভালোবেসেই আমাকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়েছে। গঙ্গাচড়ার মানুষ আমাকে উপজেলা পরিষদে দেখতে চায়। তাই আমি তাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু বলেন,আমাদের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেন, দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়াও হচ্ছে।

জানা যায়, ১৭ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।

;

জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, আব্দুল হাই-এর মতো ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কারণে। তাদের অবদানের ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ঝিনাইদাহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিলো যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিলো। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুংগঠিত করেন।

তিনি আরো বলেন, আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পেরেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময়ে ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারতো না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিলো ,আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশীর ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হতো, কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসেব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বার বার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই সব চেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে এক সময় গ্রেফতারের করার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে ফিরে পেয়েছিল। তারপর নির্বাচনে জয়ী হলেন। পরে অসুস্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন। নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।  

সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভুইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদক প্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদক প্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।

;

ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উজ্জল মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার( ২মে) বিকালে কেল্লাবাড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক নয়ানখাল দোলাপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নিহত যুবক তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজার করার উদ্দেশ্য তারাগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের সামনে ছিটকে পড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকা তার উপর দিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে এবং আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;