বরিশাল : শনিবার (২৮ জুলাই) মধ্য রাতেই শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। ফলে শেষ সময়ে প্রচারণার ব্যস্ত সময় পার করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
এদিকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। নগরীর আইন শৃংখলাবাহিনীও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
এবারের বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৯ প্লাটুন মোতায়েনসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে বলে জানিয়েছে রিটানিং অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান তালুকদার।
শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা । এর পাশাপাশি র্যাব -পুলিশের সদস্যরাও তাদের টহল অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০ জন বিচার বিভাগীয় (জুডিশিয়াল) হাকিম ও ৫৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এর পাশাপাশি নির্বাচনে অপ্রীতিকর যেকোন ঘটনা এড়াতে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বরিশালে ৪ শ’ সদস্যের ১৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
এরমধ্যে ১৫ প্লাটুন মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবিকে প্রস্তুত রাখা হবে। যেকোন বিশেষ প্রয়োজনে তারা বের হবে।
এদিকে র্যাব ৮ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের প্রায় তিনশ সদস্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করবেন। যার মধ্যে ৩০ টি টিম স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে এবং ৪ টি টিম রিজার্ভ রাখা হবে। পাশাপাশি নগরজুড়ে টহলের পাশাপাশি নগরের প্রবেশদ্বারে ৩ টি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে পুলিশের ২ হাজারের ওপর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। মোট সদস্যের মধ্যে ২ হাজার ১৩ জন পুলিশ ও ১৫৬ জন আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের সদস্য রয়েছে। এছাড়াও আনসারের ২হাজার ১৫৯ সদস্য কাজ করবে। যাদের মধ্যে ৪৩৭ জন ব্যাটেলিয়ান আনসার রয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপিসহ ৬ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর পাশাপাশি নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯১ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এছাড়াও মোট ১২৩টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ ভোটার। যারমধ্যে ১১২টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।