চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন পেছানোসহ চার দফা দাবি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন বিএনপির প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে চসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান কাছে বিএনপির দাবিগুলো জমা দেন।
চার দফা দাবি সমূহ হলো: ২৯ মার্চের নির্বাচন পিছিয়ে ৩১ মার্চ করতে হবে। ইভিএমের প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ লোক যেন ভোট দিতে না পারে সেজন্য সেনাবাহিনীর টেকনিক্যাল সাপোর্ট দল রাখাসহ পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বও তাদের দিতে হবে।
প্রিসাইডিং অফিসের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোট দেয়ার এখতিয়ার ১% এ আনতে হবে। কারণ সিটি করপোরেশনের প্রায় ২০ লাখ ভোটার মধ্যে ৫% ভোট যদি প্রিসাইডিং অফিসারের আওতায় থাকে তাহলে ১ লাখ ভোটার হয়, যা চাইলে তারা কারচুপি করতে পারে, যেটাতে নির্বাচন জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়।
চার দফার বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুর রহমান শামীম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, শঙ্কা ও ভয়ভীতির কারণে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোটারদের অনীহা থাকে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকলে তাদের সাহস বাড়বে এবং ভোট দিতে আসবেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মোহাম্মদ খানসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ মার্চ। এবারই প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ মার্চ। এছাড়া ৯ মার্চ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।