চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পেশাজীবীদের নতুনভাবে সংগঠিত করে মেয়র ও কাউন্সিলার প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে নামাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ লক্ষে বেশ কিছু সাংগঠনিক সভা ও কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও চট্টগ্রাম বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সম্পাদক একরামুল করিম চসিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির সমর্থকদের সাথে দফায় দফায় মত বিনিময় চলছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিএনপিপন্থী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে মহানগর বিএনপির ও পেশাজীবীদের একাধিক সভা মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পেশাজীবীদের নিয়ে চসিক নির্বাচনে বিএনপির কৌশল ঠিক করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিএনপির একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম'কে জানিয়েছে, নির্বাচনে সর্বাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার জন্য দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের কর্মীসমর্থকদের পাশাপাশি পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজকে নিয়ে তৃণমূল স্তরে প্রচারণা ও নির্বাচনী কাজ করতে বলা হয়েছে।
তবে দলের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন সাংগঠনিক স্থবিরতা থাকায় দলের সমর্থক পেশাজীবীগণ বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত। তাদেরকে মাঠে নামাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রবীণ ও মধ্য বয়েসীরা এগিয়ে না আসলেও তরুণ ও নতুন পেশাজীবীরা জোরেশোরে মাঠে নেমেছে।
'আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, অতীতে যারা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ভিসি, প্রোভিসিসহ বিভিন্ন পদ, পদবি, প্লট ও পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, তাদেরকে বহু ডাকাডাকি করার পরও পাওয়া যাচ্ছেনা। বরং নবীনরা উৎসাহের সাথে নির্বাচনী কাজে অংশ নিচ্ছেন', বলেন চট্টগ্রাম বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই নেতা বার্তা২৪.কম'কে বলেন, 'অতীতে ভুল লোককে বড় বড় জায়গায় বসিয়েছে বিএনপি, যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে। দলের দুঃসময়ে এদেরকে পাওয়া যাচ্ছেনা। নতুনরাই আমাদের ভরসা।