পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে ২৬তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এ স্প্যানটি বসানোর মধ্যে দিয়ে পদ্মাসেতুর ৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে আর বাকি থাকবে ১৫টি স্প্যান।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ ) পদ্মাসেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ২৬তম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার (৯ মার্চ) সকালে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সকালে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে স্প্যানটিকে বসানো হয়।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি । প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
তাছাড়া, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দৃশ্যমান হলো ৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার। মূল সেতু নির্মাণ কাজ ৮৬ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তাছাড়া এই বছরের জুলাই মাস নাগাদ সকল স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে। আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ পদ্মা সেতুতে যান চলাচল করবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর ২১ তম স্প্যান বসে এবং ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর ২২তম স্প্যান বসে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে বসেছে ২৩তম স্প্যান, ১১ ফেব্রুয়ারি ২৪তম ও ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫তম স্প্যান বসে।